

শেখ ফরিদ, স্টাফ রিপোর্টার:কুড়িগ্রাম-১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা হারিসুল বারি রনির নেতৃত্বে পাইকের ছড়া ইউনিয়নে এক বিশাল নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (তারিখ) বাদ মাগরিব পাইকের ছড়ার পাটেশ্বরী বাজার জামে মসজিদে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি পাইকের ছড়া ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে মাসিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ ইশা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাইকের ছড়া ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মনোনীত প্রার্থী জননেতা হারিসুল বারি রনি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এখন আর কোনো ছোট দল নয়। দেশের মানুষ ইসলাম চায়, শান্তি চায়, নিরাপদ ভবিষ্যৎ চায়। আজ সময় এসেছে ঈমানী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার।
আপনারাই প্রার্থী — ঘরে বসে নয়, মাঠে নেমে জনগণের কাছে হাতপাখার বার্তা পৌঁছে দিন। বাতিলের রক্তরঞ্জিত চোখ দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সত্যের সৈনিকরা কখনো ভয় পায় না।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা ভাতা, টেন্ডার বা ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করি না। আমরা কল্যাণ, আদর্শ ও ইসলামের ছায়া মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে এসেছি। ইনশাআল্লাহ, হাতপাখা বিজয়ের প্রতীক হবে।”
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতী ওমর ফারুক। তিনি বলেন,
“আমরা এই বাংলাদেশে এমন এক রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে চাই, যা কেবলই ন্যায়ভিত্তিক ও দুর্নীতিমুক্ত। ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখাই সেই প্রতীক — যা জনগণের আশা ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। জনগণ আজ পরিবর্তন চায়। এ দেশের মানুষ ইসলাম চায়, নিরাপত্তা চায়, দুর্নীতিমুক্ত দেশ চায়। ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার বিকল্প নেই।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেক্রেটারি মুফতী এস. এম. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন,
“আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আমাদের প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং গ্রামে গ্রামে হাতপাখার পক্ষে গণজোয়ার তৈরি করতে হবে। আমরা এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখব না ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন,
“পাইকের ছড়ার প্রতিটি ওয়ার্ডে, প্রতিটি পাড়ায় এখন হাতপাখার পক্ষে গণসচেতনতা তৈরি হচ্ছে। এটি শুধু একটি নির্বাচন নয়, বরং এটি বাতিল ও সত্যের মধ্যকার একটি স্পষ্ট লড়াই।”
সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাইকের ছড়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ রবিউল ইসলাম।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ, কিন্তু লক্ষ্য সুস্পষ্ট – আল্লাহভীতির নেতৃত্ব কায়েম করতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“আজকের এই ঐক্য, এই দৃঢ়তা প্রমাণ করে— পাইকের ছড়ার মানুষ ইসলামী নেতৃত্ব চায়। ইনশাআল্লাহ হাতপাখার বিজয় হবে।”
সভায় পাইকের ছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ, কর্মী-সমর্থক, ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তাদের দৃঢ় বক্তব্য ও কর্মীদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে, পাইকের ছড়া এখন ইসলামী আন্দোলনের একটি শক্তিশালী ঘাঁটিতে রূপ নিয়েছে।