

মোঃ মিনারুল ইসলাম
চুুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি
২৩/০৭/২০২৫ ইং বুধবার
চুয়াডাঙ্গার জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ০৬ নং হাউলী ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের লোকনাথপুর- কাদিপুর গ্রামের অভ্যন্তরীণ মেইন রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। জরুরি প্রয়োজনে সাইকেল, মটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স তো দূরের কথা, সাধারণ যানবাহনও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।
বিশেষ করে বর্ষার এই মৌসুমে কাদা পানিতে রাস্তাটি যেন এক ভয়ংকর ভাঙ্গনে মৃত্যু ফাঁদে রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ — শিক্ষার্থী, কৃষক, দিনমজুর, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগী — এই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু চলাচলের উপযুক্ত কোনো অবস্থা নেই, ভ্যান-ইজিবাইক চালকরা সহ সকলে দুরের রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে হচ্ছে।
গ্রামের কয়েকজন বৃদ্ধ চাচা বলেন, “আমার সন্তান স্কুলে যেতে চায়, কিন্তু প্রতিদিন এখান দিয়ে অন্তপক্ষ কয়েকগ্রামের মানুষ এখান দিয়ে দর্শনা হতে কার্পাসডাঙ্গা ও রঘনাথপুর, নতুন ববাস্তপুর, পুরাতন বাস্তপুর, গোবিন্দপুর, কাদিপুর দিয়ে দর্শনাই যেতে হয়। এমন রাস্তা দেখে শিশুরাও ভয় পায়। না কখন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। তিনারা আরো বলেন যে এখানে একটি কালভার্টের প্রয়োজন।যাতে করে বর্ষার পানি নিচ দিয়ে বাহির হয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তাটি পাকা করার জন্য খোড়া হয়। কিন্তু খোড়ার পর দীর্ঘিদিন পড়ে থাকার কারনে বর্ষার পানির স্রোতে রাস্তাটি মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি উপরিউক্ত কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও, শুধু আশ্বাসই পাওয়া গেছে।
ভোট এলে নেতারা এলাকায় ঘোরেন, কিন্তু এরপর আর তাদের দেখা যায় না। দু-একবার এটি মেরামত করা হলেও তা কিছুদিন যেতেই ভংকুর অবস্হায় পরিণত হয়েছে। এমন দায়সারা কাজ শুরু হলেও তা বর্ষার পানির স্রোতের সঙ্গে মিশে রাস্তাটি আরও ভয়ংকর করে তুলেছে।
এমতাবস্থায় এক বাইসাইকেল ও মটরসাইকেল চালক বলেন, “প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি । কখন কোথায় উল্টে যাই, বলা যায় না। কোনো দুর্ঘটনা হলে আমাদের দেখার কেউ নেই।”
গ্রামের স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, “৬৫ বছর বয়স হয়েছে, কিন্তু এই রাস্তায় কোনো উন্নয়ন দেখি নাই। কেবল শুনি ‘কাজ হবে, হবে’, কিন্তু কিছুই হয় না।”
এলাকাবাসী জানান, তারা উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ এবং স্থানীয় এমপির কাছেও একাধিকবার লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু বছরের পর বছর পার হলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটি টাকাও।
এবার তাদের সাফ কথা — আর কোনো আশ্বাস নয়। চাই দৃশ্যমান ব্যবস্থা।
তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেছেন, “এই রাস্তা আমাদের জীবন রক্ষার রাস্তা। এটিকে পাকা ও এখানে একটি কালর্ভাট না করলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা দেখা দেবে।”