

স্টাফ রিপোর্টার: মো. শাহজাহান বাশার
প্রকাশকাল: ২১ জুলাই ২০২৫ | স্থান: ঢাকা, উত্তরা
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে আজ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান F-7 BGI বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় মুহূর্তেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়দের মধ্যে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, কয়েকজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে হঠাৎ করে আকাশ থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। পরবর্তীতে দেখা যায়, একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন কলেজের সীমানার মধ্যে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজে এগিয়ে এলে উদ্ধারকার্যে অন্তর্ভুক্ত হয় ফায়ার সার্ভিস, বিমান বাহিনীর সদস্যরা, পুলিশ, ও র্যাব। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং আহতদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা যায়নি। তবে উদ্ধার অভিযান এখনো চলমান এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন।
F-7 BGI বিমানটি বিমান বাহিনীর একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ বিমান হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে এই দুর্ঘটনা রাজধানীর আকাশসীমার নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণের মান এবং জনবহুল এলাকায় ফ্লাইট পরিচালনার যৌক্তিকতা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, “ঘটনার সময় ক্লাস চলছিল। হঠাৎ করে বিমান বিধ্বস্ত হলে আমরা দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে আনি। ঘটনাস্থল থেকে অনেকটা দূরত্বে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশ, বিমান বাহিনী, ও ফায়ার সার্ভিস এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলবে এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীর মতো জনবহুল এলাকায় এ ধরনের বিমান দুর্ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এখনই প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ, নিরাপত্তা জোরদারকরণ, এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির। বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনাটি যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়েও জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।